Status

মাগুরায় গমের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা

মাগুরায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৫০৪ হেক্টরের গমের চাষ হয়েছে। রোগ বালাই না হলে উৎপাদন হবে ২১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টান গম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ৫,৫০৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২১,৭৯৬ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১,৪৩৪ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ১,৮৭০ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর এবং মোহাম্মদপুর উপজেলায় ১,৮৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। এই মৌসুমে রোগ প্রতিরোধী এবং তাপ প্রতিরোধী গমের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের গম চাষ করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি গম- ৩০, ৩২, ৩৩ চাষের পাশাপাশি এ বছর উচ্চ ফলনশীল উফরি-৩ জাতের গম চাষ করা হয়েছে। বিশেষ করে গম চাষের সময়, গমের বীজ শোধন করে মরা প্রতিরোধের পরামর্শ দেওয়ায় কৃষকদের খেতে রোগবালাই কমে গেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে, গমের জমিতে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক স্প্রে করার ফলে ভয়াবহ রোগবালাই দেখা যায়নি।

মাগুরা সদর উপজেলার কাপাসটি গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান জানান, তিনি কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২৫ শতাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩২ জাতের গম চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে গম মাঠ পরিচর্যার জন্য ভালো হয়েছে। তিনি চাষ করা জমি থেকে প্রায় ১৫ মাস গম পাওয়ার আশা করছেন।
একই গ্রামের আরেক কৃষক বাবুল হোসেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২৮ শতাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩৩ জাতের গম চাষ করেছেন। জমিতে ফসলের অবস্থা ভালো। তিনি আশা করছেন চাষের জমিতে ২০ মন গম পাওয়া যাবে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, জেলার চারটি উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এই মৌসুমে রোগ তেমন তীব্র হয়নি। বিশেষ করে জেলায় এ বছর গমের রোগের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রয়োগ না করার কারণে জমির অবস্থা ভালো। ৫,০০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ এবং সার দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, এই মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হবে।

Source link

Back to top button