মধ্যরাতে তল্লাশির নামে তছনছ গুলশানের একটি বাসা, নেটিজেনদের ক্ষোভ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য নেই। নেই কোন সার্চ ওয়ারেন্ট। এরপরও একদল লোক তল্লাশি চালায় অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি বাড়িতে। তল্লাশির নামে তারা তছনছ করে সেই বাসাটি। স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠেছে অভিজাত এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন দেশের পুলিশ বাহিনীকে।
তবে অনেকেই দাবি করেছেন তল্লাশি চালিয়েছে ছাত্ররা। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় অনেকের বয়সই ৪০-৫০ এর ওপর। ইতিমধ্যে এটির পিছনে দেশের একটি স্বনামধন্য প্রোপার্টিজ কোম্পানীর মালিকের ইন্ধোনের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকেরই দাবি এটি সেই কোম্পানীর মালিকের পরিকল্পিত। যারা তল্লাশি চালিয়েছে সকলেই তার নিজস্ব পোষা লোকজন। সামাজিক মাধ্যমে তমা খানম নামের একজন লিখেছেন, ‘গুলশানের মত অভিজাত এলাকায় এভাবে রাতদুপুরে তল্লাশির নামে হামলা? দেশের পুলিশ বাহিনী কোথায়? এখনো তাদের ঘুম ভাঙ্গে নি?’ সাফা রাহমান নামের আরেকজন গুলশান জোনের পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘দায়িত্ব সামলাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে বাসায় গিয়ে বসে থাকুন। এভাবে জনগণের সাথে তামাশা করবেন না। গুলশান জোনের ডিসি, ওসি সব কোথায়?’ অনেকেই আবার গুলশানের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণেরও দাবি জানান।
মূলত তল্লাশি চালানো ব্যক্তিরা দাবি করেছেন তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে তল্লাশি চালান। কিন্তু নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন বাড়ি যারই হোক গুলশানের মত অভিজাত এলাকায় সন্ত্রাসীদের মত এভাবে বাসায় ঢুকে তছনছ করবে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা চেয়ে চেয়ে দেখবে তা হতে পারে না। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার যেখানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৎপর দেশ জুড়ে চালানো হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট তার মধ্যে এসব মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য নেটিজেনদের।তল্লাশি চালানো প্রায় শতাধিক ব্যক্তিরা মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়েন বাড়িটিতে। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র লুকানো আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ‘তল্লাশি’ করতে ঢুকেছেন বলে জানান তাঁরা। ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চলার পর রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হন সেনা সদস্যরা। আর পুলিশ তারা তো হাজির হয় এমন সময়, যেনো ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রুগি মারা গেলো। বাসাটি যখন তছনছ করা শেষ ঠিক তখন হাজির হয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এটি নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িটির মালিক দেশের পোষাক খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা লাক্সামা গ্রুপের কর্ণধার রহমান শরিফ।