মতলব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১৩ দোকান ও ৩ টি ঘর ভস্মীভূত, ক্ষয়ক্ষতি কোটি টাকা

চাঁদপুরেরর মতলব দক্ষিণ উপজেলা মতলব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ১৩ দোকান ও ৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার(২৭ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ।
ব্যবসায়াী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাজারের পূর্ব গলিতে মাহিনের মাইকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে শরীফের কাপড়ের দোকান, মানিক মৃধার হার্ডওয়ার, সুমন মৃধার হার্ডওয়ার, পিন্টু সাহার চায়ের দোকান, তপন পালের হার্ডওয়ার, মেহেদী মাইক ও স্পীকার, আবুলের চায়ের দোকান, মামুন ও বোরহানের সারের দোকান, মাসুম বিল্লাহর রড সিমেন্টের দোকান, মোখলেসের চায়ের দোকানসহ সেবকদের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মসজিদের মাইক থেকে আগুন নেভানোর আহবান করলে বাজারের ব্যবসায়ীরা বালতি নিয়ে ছুটে যান। স্থানীয় জনতা পার্শ্ববর্তী খাল থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভাতে যোগ দেয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একটি পাম বিকেল হয়ে গেলে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস দেড় ঘন্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। বাজারের ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষদর্শী আমির খসরু, ফয়সাল, জিশান, মজিব সরতকার জানান, বাজারের মাহিন মাইক সার্ভিস ব্যাটারির দোকান থেকে আগুনের প্রথম সূত্রপাত ঘটে। তারপর আগুন স্থানীয় মেথর পট্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। মাহিন মাইক সার্ভিসের মালিক মাহিনুল ইসলাম জানান তার দোকানের সকল মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় তার স্ত্রী আগুন দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলেে ধারণা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ গোলাম মোর্শেদ জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি, পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা মতলব উত্তর, দক্ষিণ ও চাঁদপুরের চারটি ইউনিট কাজ করিতেছি।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ওসি সালেহ আহমেদও সাথে ছিলেন।