ভোররাতে নেপালে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমালয় অঞ্চল। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প নেপালকে তছনছ করে দেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভূমিকম্পের জেরে দেশটির বেশ কিছু এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

 

এই ভূমিকম্পের আঘাত নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ডে, স্থানীয় সময় ভোররাতে প্রায় ২টা ৫১ মিনিটে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১, যা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অঞ্চলটির পরিস্থিতি এখনো মূল্যায়ন করছে।

 

ভূমিকম্পটি নেপালের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে, এবং ভারতের কিছু শহর ও তিব্বত সীমান্ত অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর, যদিও ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে নেপালের ভূমিকম্প প্রবণতা এবং অতীতের ঘটনায় দেখা গেছে যে দেশটি সবসময় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে। সেক্ষেত্রে, নেপালের জনগণ এবং কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বেশ কয়েকটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরের মাঝামাঝি একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পে প্রায় ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। এটি “গোর্খা ভূমিকম্প” নামে পরিচিত, এবং এর ফলে ভারত, পাকিস্তান, তিব্বত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

 

ভূমিকম্পের কারণে নেপাল, বিশেষত হিমালয় অঞ্চলে, নিয়মিত ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অতীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে, যেমন ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে প্রায় ২২ জন মাউন্ট এভারেস্টে তুষারধসে নিহত হয়েছিলেন। এই ভূমিকম্পের পর, নেপালের জনগণ এবং সরকার আরও সচেতন ও প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করছে। তথ্যসূত্র : এএনআই, এনডিটিভি।

Source link

Exit mobile version