ভারতের অভ্যন্তরে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী খাসিয়াদের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে ওই যুবকের মরদেহ মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরী বাঁশকোনা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহেদ মিয়া সিলেটের কানাইঘাটের আলুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মোসাহিদ মিয়ার ছেলে।
বিজিবি বলছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সে দেশের খাসিয়া চোরাকারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান শাহেদ। একপর্যায়ে তাদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে শাহেদসহ আরও কয়েকজন অবৈধভাবে মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরি এলাকায় অনুপ্রবেশ করেন। রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন শাহেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরি বাঁশকোনা এলাকার ১৩১৯ নম্বর পিলারের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে।
বিষয়টি সীমান্তবর্তী লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পকে জানালে আইনি জটিলতায় তারা মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
শাহেদের পরিবারের দাবি, মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়ায় বিএসএফের সহায়তায় মেঘালয় রাজ্য পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী বহনের জন্য অনেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে থাকেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লাইজুরি এলাকায় গুলির শব্দ শোনা গেছে।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবিকে জানানো হয়।
বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভারতে প্রবেশ করে সে দেশের খাসিয়া চোরাকারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন শাহেদ। একপর্যায়ে খাসিয়াদের আঘাতে মৃত্যু হয় তার।
তিনি বলেন, বিষয়টি বিএসএফকে জানানো হলে বিএসএফ মরদেহের ছবি পাঠায়। পরে নিহতের স্বজনরা তা শনাক্ত করেন। ওই যুবকের মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আহমেদ জামিল/জেডএইচ/এএসএম