বৈদেশিক সহায়তা কমানোয় ইউএসএআইডি কর্মীদের সদরদপ্তর ত্যাগ

‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বৈদেশিক সহায়তা কমানোর ঘোষণার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-র ওপর। সংস্থাটির ৯০ শতাংশ বরাদ্ধ বাতিল করতে যাচ্ছে জানুয়ারিতে গঠিত হওয়া নতুন সরকার।
বৃহস্পতিবার ইউএসএআইডি-র কর্মীদের ওয়াশিংটনের সদর দপ্তর থেকে তাদের ব্যক্তিগত জিনিস ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে স্বল্প সময়ের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। জানুয়ারিতে সকল বৈদেশিক সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের অর্থায়নে পরিচালিত এসকল উন্নয়ন প্রকল্প যেন আমেরিকা ফার্স্ট নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতেই ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা শুরু হয়। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পরেছে বিশ্বের নানা দেশে ইউএসএআইডি-র চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ কমাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার উপদেষ্টা ইলন মাস্ককে ইউএসএআইডি বিলুপ্ত করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইউএসএআইডি-র প্রকল্পগুলোকে সরকারি তহবিলের অপচয় ও অপব্যবহার বলে মনে করেন ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। সরকারের সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে সংস্থাটি হাজার হাজার কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। কর্মীদের ওয়াশিংটনের সদর দপ্তরে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তিও বাতিল করা হয়। যাদের ছুটিতে রাখা হয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই পুনর্বহাল করা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কর্মীদের তাদের ব্যক্তিগত সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য মাত্র ১৫ মিনিট সময় দেয়া হয়েছিল। অ্যাঞ্জেলা স্টিফেন্স ২০০৮ সাল থেকে ইউএসএআইডির যোগাযোগ বিভাগে কাজ করছেন। গতকালের দিনটি ইউএসএআইডির কর্মীদের জন্য একটি আবেগপূর্ণ ও শোকাবহ দিন ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। অ্যাঞ্জেলা স্টিফেন্স বলেন, নতুন প্রশাসন এলে সব সময়ই পরিবর্তন আসে। আমরা যা আশা করিনি, তা হলো, আমাদের সংস্থার পুরোপুরি বিলুপ্তি। আমি জানি না আমি এরপর কী করতে যাচ্ছি।