
ব্যবহার করা পোশাকের (সেকেন্ড হ্যান্ড ক্লোথিং) বৈশ্বিক বাজার মূল এখন একশ বিলিয়ন ডলার। লম্বার্ড ওডিয়ারের গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও ২০২০ সালে এর বাজার মূল ছিল ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে মনে করে ২০২৩ সালে আমেরিকান পুনঃবিক্রয় বাজার খুচরা বিক্রয়ের তুলনায় ১৫ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এই বছর বিশ্বব্যাপী পোশাক বাজারের ১০ শতাংশ হবে সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রয়। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো যখন সংগ্রাম করছে, তখন পুনঃবিক্রয়ের সাইটগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
কিছু ক্রেতা পরিবেশগত কারণে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনেন। ফ্যাশন শিল্প বিশ্বব্যাপী কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের প্রায় ১০ শতাংশের জন্য দায়ী, যা জাহাজ চলাচল এবং বিমান ভ্রমণের সম্মিলিত নির্গমনের চেয়েও বেশি। এই শিল্পে প্রচুর পরিমাণে পানিও ব্যবহার করা হয়।
ভেস্টিয়ারের প্রধান নির্বাহী ম্যাক্সিমিলিয়ান বিটনার উল্লেখ করেছেন, মূল্যই মূলত পুরোনো পোশাকের বাজারকে চাঙা করছে। অর্থ সাশ্রয়ের জন্য গ্রাহকরা ক্রমশ পুরাতন পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন।
ভেস্টিয়ারের হিসেবে নতুন পোশাকের তুলনায় তাদের সাইটে ব্যবহার করা পোশাকের দাম গড়ে ৩৩ শতাংশ কম।
এক্ষেত্রে আরও অনেক প্রবৃদ্ধির বাকি আছে। ওয়েলস ফার্গো নামে একটি ব্যাংকের বিশ্লেষকরা মনে করেন, মানুষের আলমারিতে ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিলাসবহুল পণ্য রয়েছে যা পুনঃবিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত, যার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ প্রতি বছর বাজারে আসে।
পুনঃবিক্রয় প্ল্যাটফর্মগুলোও ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ক্রেতারা জানতে চান যে ব্র্যান্ডেড পণ্যগুলো খাঁটি কি না। পণ্যগুলো ম্যানুয়ালি পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা ব্যয়বহুল ও ধীর। তবে এক্ষেত্রে অনেক বিকল্প রয়েছে।
এদিকে পুরোনো পোশাকে মুনাফার ক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে বড় হুমকি হলো প্রতিযোগিতা। দাতব্য দোকান ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসই একমাত্র জায়গা নয় যেখানে ব্যবহৃত পোশাক কেনা যায়। লুলুলেমন ও দ্য নর্থ ফেসের মতো ব্র্যান্ডগুলো পুরোনো পোশাক বিক্রি করছে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ক্রেতা টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কিনছেন। শিল্পটি যেহেতু বড় হচ্ছে, তাই মনে করা হচ্ছে অন্যরাও আগ্রহী হতে পারে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
এমএসএম