বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেফতার ৩ সন্ত্রাসী

নগরীতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার নগরীর দামপাড়ার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিনুল ইসলাম। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া মাদরাসার পাশের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- মো. মিল্লাত, আবুল হাসনাত ফাহিম ও মো. রুবেল। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক আইনে একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে পুলিশ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওই পরিত্যাক্ত ভবনে অভিযান চালায়। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল ওখানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানসহ আরো কয়েকজন ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগাজিন, নয় রাউন্ড গুলিসহ দেশে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। গ্রেফতার আসামিরা চট্টগ্রামের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে রোববার সাজ্জাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল। সেজন্য মোট ১৬ জনের শক্ত অভিযানিক টিম আমরা গঠন করেছিলাম। সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়ে থাকে। সাজ্জাদের সাথেও মিজান গ্রুপের এরকম দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা অভিযান চালানোর পর মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না কেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সাজ্জাদ অন্ত্যন্ত কৌশলী। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। তাকে ট্র্যাক করে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আমরা জানতে পেরেছি, সাজ্জাদ দেশেই আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্যেই আমরা গতকাল অভিযান চালিয়েছি।’
সাজ্জাদ ও মিজান রাজনৈতিক কোনো নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আছে কিনা সেটা আমরা খুঁজে দেখছি। আমাদের ভাষায়, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, তাদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকে না। যদি কেউ জানাতে পারেন নির্দিষ্টভাবে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা আমরা সেখানেও তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা।