
ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ট্রেডিং স্টেজে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্টারনাল রিসোর্স ডিভিশিন (আইআরডি)। এ তালিকায় রয়েছে রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, সরিষার তেল, ডাল ও ডালজাতীয় খাদ্যশস্য, গুঁড়া মরিচ, ধনিয়া, আদা, হলুদ বা এ জাতীয় মশলার মিশ্রণ, দেশে উৎপাদিত আটা, ময়দা ও সুজি; সানফ্লাওয়ার সিড অয়েল, রাইস ব্র্যান অয়েল, দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ। এতদিন এসব পণ্যের ট্রেডিং স্টেজে ভ্যাট ছিল পাঁচ থেকে সাড়ে সাত শতাংশ। এছাড়া কৃষি কাজে ব্যবহার হওয়া কিছু সারও যুক্ত হয়েছে এ তালিকায়। আইআরডি গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ (স্ট্যাট্ইুটরি রেগুলেটরি অর্ডার) ইস্যু করেছে, যা প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল সোমবার।
এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউয়ের (এনবিআর) এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আলোচ্য পণ্যগুলো প্রোডাকশন স্টেজে ভ্যাট এক্সেম্পশন আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ট্রেডিং স্টেজে ভ্যাট আছে। এই সুযোগে কেউ কেউ বাজারকে এই অজুহাতে আনস্টেবল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ট্রেডিং স্টেজে ভ্যাট রয়েছে এমন অজুহাতে কেউ যাতে বাজারকে আনস্টেবল করতে না পারে, সেজন্য এসব পণ্যের উপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সুপারশপগুলোর বেশিরভাগই স্ট্যান্ডার্ড রেট এ (১৫ শতাংশ) ভ্যাট দিচ্ছে, ফলে এসব পণ্যের ট্রেডিং স্টেজে আলাদাভাবে ভ্যাট না রাখাই যৌক্তিক।
এছাড়া পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাতে দাম বাড়ায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে।