Status

বাংলাদেশ ফ্লোরবল দলে ডেলিগেট স্বামী-স্ত্রী!

স্পেশাল উইন্টার অলিম্পিকে অংশ নিতে বাংলাদেশ ফ্লোরবল দলের সঙ্গে কর্মকর্তা হিসাবে ইতালির তুরিনে যাচ্ছে এক দম্পতি। অবাক হলেও সত্যি যে, এই দম্পতির কেউই ফ্লোরবল ডিসিপ্লিনের সঙ্গে যুক্ত নন। তারপরও দলটির সঙ্গে ডেলিগেট হিসেবে যাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী! আগামী শুক্রবার রাতে তুরিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। দলের সঙ্গে তুরিন যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন দম্পতি সাবেক দুই তারকা শাটলার শেখ আবুল হাশেম ও কামরুন নাহার ডানা। প্রথমজন হেড অব ডেলিগেট হিসাবে এবং দ্বিতীয়জন যাচ্ছেন সহকারী হেড অব ডেলিগেট হয়ে।
আগামী শনিবার থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমস। সেখানেই হবে ফ্লোরবল ডিসিপ্লিনের খেলা। উইন্টার গেমস হলেও ফ্লোরবল আইস (বরফ) হকির মতো একটি খেলা। তবে সেখানে কোনো আইস নেই। প্লাস্টিকের স্টিক এবং পারফরেটেড বলে খেলা হয়। প্রত্যেক দলে গোলরক্ষকসহ চারজন খেলোয়াড় থাকেন। অপ্রচলিত এই ডিসিপ্লিনে খেলতে ১৪ সদস্যের দল পাঠাচ্ছে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ। ১৪ সদস্যের কন্টিনজেন্ট হলেও মূল খেলোয়াড় দেখানো হয়েছে ৮ জনকে। যদিও মাঠে খেলবে মাত্র ৪ জন। ১৪ জনের মধ্যে ছয়জনই কোচ ও কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা হলেন- ফাতেমা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, ফাবিয়া খাতুন, অনিতা খাতুন, তানমুন ইসলাম, তানজিলা খাতুন, মুক্তা আক্তার ও তামাল্লিন। প্রধান কোচ জাহিদ হোসেন, কোচ ফরিদা ইয়াসমিন, মেডিকেল স্টাফ নিশাত পারভীন ও এডিশনাল স্টাফ সুবর্ণা চাকমা। তবে অবাক করা কা- হলো দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ব্যাডমিন্ট খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকা সাবেক তারকা শাটলার শেখ আবুল হাশেম এবং তারই সহধর্মীনী আরেক সাবেক তারকা শাটলার কামরুন নাহার ডানা যাচ্ছেন দলের সঙ্গে। হাশেম হেড অব ডেলিগেট হিসাবে ও ডানা সহকারী হেড অব ডেলিগেট হয়ে তুরিনে যাবেন! যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এ প্রসঙ্গে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের অন্যতম পরিচালক মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘ডানা স্পেশাল অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত। তাই তিনি যাচ্ছেন দলের সঙ্গে। আর বিশেষ ক্রীড়াবিদদের জন্য কোনো প্রকার সরকারী আদেশের (জিও) প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সরকার কোনো অর্থ দেয় না। স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের অর্থেই খেলতে যাচ্ছে দল।’ ১৪ সদস্যের দলে ছয়জন কর্মকর্তা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক ফারুকুল ইসলাম বলেন,‘স্পেশাল খেলোয়াড়দের সঙ্গে একজন করে সহকারী রাখতে হয়। সেখানে আট জনের সঙ্গে যাচ্ছে ছয়জন। অনেক কম।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে হেড অব ডেলিগেট ও সহকারী হেড অব ডেলিগেট পদ নিয়ে তাহলে কি হাশেম এবং ডানা ক্রীড়াবিদদের সহকারী হিসাবে তুরিন যাচ্ছেন?

Source link

Leave a Reply

Back to top button