
বরিশালে খোলাবাজারে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির আওতায় প্রতিদিন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে আটা ও চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একইসাথে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে দুমাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের পাশাপাশি টিসিবির ফ্যমিলি কার্ডের মাধ্যমেও অন্তত ৪ লাখ পরিবারকেও একই দামে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসব কর্মসূচির কারণে চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে বলে খাদ্য বিভাগের দাবি।
রমজানের শুরুতেই ‘ওএমএস’ কর্মসূচির আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল ও সমপরিমাণ আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন নগরীর ৯টি পয়েন্টে ট্রাকে ডিলারদের সমপরিমাণ চাল ও আটা বিক্রি করছেন। প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ২৪ টাকা দরে যেকেউ মাথাপিছু ৫ কেজি করে কিনতে পারছেন। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় মহানগরীর ৩০ জন ডিলারের বাইরে জেলা সদরে ৬ জন ও উপজেলা সদরে ২ জন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল ও আটা বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে বরিশালে প্রতিদিন ১৬৪ টন চাল ও ৫৬ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে বলে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতর সূত্রে বলা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে এক কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় বরিশাল খাদ্য অঞ্চলে ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১৫ টাকা দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কর্মসূচিও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় দু’মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৫ হাজার টন চাল বিতরণ করা হবে বলে খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। একইসাথে বরিশালে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় ৬ লাখ পরিবারও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এরফলে প্রতিমাসে আরো প্রায় ৩ হাজার টন চাল খোলা বাজারে আসছে।
এত বিপুল পরিমাণ চাল খোলা বাজারে আসায় চালের বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে খাদ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র আশা করছে। তবে বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, ওএমএস পদ্ধতিতে বরিশাল মহানগরীসহ জেলা এবং উপজেলা সদরে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণের পাশাপাশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা জরুরি। একইসাথে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে টিসিবির কার্ডধারীদের জন্য মাসে মাত্র ৫ কেজি চাল বরাদ্দের বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তা ন্যূনতম ২৫ কেজিতে উন্নীত করারও দাবি সাধারণ ভোক্তসহ বাজার পর্যবেক্ষকদের।