বদলে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম এখন ‘এনসিজি’

শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের কথা আগেই জানিয়েছিল বিসিবি। এবার চূড়ান্ত হলো স্টেডিয়ামের নতুন নাম। পূর্বাচলের স্টেডিয়ামটির নাম এখন ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এনসিজি। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে গতকাল বিকেলে বিসিবি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বহুল আলোচিত এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাতিল করা হয় দরপত্রও। স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে আপাতত সেখানে দুটি মাঠ তৈরি করার কাজ চলছে। বিসিবি পরিচালক ইফতেখারের আশা, আগামী মৌসুম থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা পরিচালনা করা যাবে এখানে, ‘২০৩১ বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতেই হবে আমাদের।তবে আপাতত মাঠ তৈরিতেই আমরা জোর দিচ্ছি। দুটি মাঠ তৈরি হচ্ছে সেখানে। ১৮টি পিচ থাকবে, নেট অনুশীলন থেকে শুরু করে সুযোগ-সুবিধা থাকবে যথেষ্ট। অস্থায়ী ড্রেসিং রুমও থাকবে, পরে যা সরিয়ে স্থায়ী করা হবে। আশা করি, আগামী মৌসুমে এই দুই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট চালাতে পারব আমরা। আমাদের মাঠের সঙ্কটও তাতে কমবে কিছু।’
নাজমুল হাসান সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় ওই বোর্ডের উচ্চাভিলাসী প্রকল্প ছিল এটি। স্টেডিয়ামের জন্য সেই সময়ের সরকারের কাছ থেকে পূর্বাচলে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি পায় বিসিবি। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকায় পূর্ণাঙ্গ একটি ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয় এখানে, যে প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ, হোটেল, একাডেমি, সুইমিং পুলসহ ছিল আরও অনেক কিছু।
২০২২ সালের অক্টোবরে তখনকার বিসিবি জানিয়েছিল, ‘পপুলাস আর্কিটেকচারাল ডিজাইন’ নামের একটি অস্ট্রেলিয়ান ফার্মকে স্টেডিয়াম নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়ছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর আড়াই বছরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণ শেষ হবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। তবে নানা কারণে সব প্রক্রিয়াতেই দেরি হয়। এখন তো সব প্রক্রিয়াই বন্ধ।
নৌকার আদলে এই স্টেডিয়ামের নকশাও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এজন্য স্টেডিয়ামের আরেকটি নাম ছিল ‘দ্য বোট’। এখন এটির পরিচয় শুধুই এনসিজি।

 

Source link

Exit mobile version