বড়াইগ্রামে কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা আটক ৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায় নারীসহ চার অপহরণকারীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ছাতিয়ানগাছা দক্ষিণ খ্রিস্টান পাড়া এলাকা থেকে স্থানীয়রা অপহরণের জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন- রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি গ্রামের শফিউর রহমান, আঁখি খাতুন, শম্পা রেজা ও রাজিবুল ইসলাম।

জানা যায়, রাজশাহী গোদাগাড়ী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে আসেন অপহরণকারীরা। তারা বনপাড়ার ছাতিয়ানগাছা সড়ক থেকে কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে এনে মাইক্রোবাসে উঠান। এ সময় ওই কলেজ ছাত্রী চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং সবাইকে আটক করেন।

ওই কলেজ ছাত্রী জানান, রাজশাহী গোদাগাড়ীর একটি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী তিনি। কলেজে পড়াশোনার সময় ওই এলাকার শফিউর রহমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় তাকে যৌন নিপীড়ন করতে থাকেন শফিউর। এক পর্যায়ে বোনের বাড়ি বনপাড়াতে পালিয়ে আসেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে দুই সহপাঠী বান্ধবী তার বোনের বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে তাদেরকে বিদায় দিতে সড়কে আসেন ওই ছাত্রী। সেখানে সড়কের অদূরে দাঁড়ানো মাইক্রোবাসে শফিউর রহমানকে দেখে তিনি আর যেতে চায়নি। এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে শফিউরসহ অন্যরা বের হয়ে এসে তাকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এ সময় মেয়েটার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং নারী ও শিশুসহ মোট ১০ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে তদন্তে অন্যদের সংশ্লিষ্ঠতা না থাকায় শিশুসহ অন্যদের ছেড়ে দিয়ে মূল অভিযুক্ত শফিউরসহ ৪ জনকে জেল হাজতে পাঠান।

বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবর রহমান জানান, মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ও ছেলেটি মুসলিম এবং বিবাহিত। ফলে এ প্রেমের সম্পর্ক আর টিকেনি। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক না রাখায় প্রেমিক শফিউর তাকে অপহরণের চেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে, ৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Source link

Exit mobile version