ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সে সুবাতাস, রিজার্ভে সুখবর

সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩০ হাজার ৭৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত জানুয়ারিতে দেশে এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৫ শতাংশ। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

অপরদিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলারে। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।##

Source link

Exit mobile version