ফুটবলে ইফতার ব্রেক

শুরু হয়ে গেছে পবিত্র রমজান মাস। পুরো বিশ্বে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই মাসের অপেক্ষায় থাকেন। রমজান মাস হলেও খেলা চালিয়ে যায় খেলোয়াড়রা। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের ম্যাচগুলো সাধারণত হয়ে থাকে বিকেলে। সেই ম্যাচ শেষ হতে হতে মাঝে মধ্যেই সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। ইউরোপে খেলা মুসলিম ফুটবলাররা রোজা রাখেন। আর এই ম্যাচ চলাকালীন সময়েই তাদের ইফতারি করতে হয়। তবে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম খেলোয়াড়দের রোজা ভঙ্গের জন্য বিরতির ব্যবস্থা করেছে।
মুসলিম বিশ্বের বাকি অনেকের মতোই রমজানের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খেলার দুনিয়াতেও। রমজান মাসে ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনেই পানাহার থেকে দূরে থাকছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী ফুটবলাররাও। আর তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বেলজিয়ান প্রো লিগ এবং ইংলিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ। রমজানে সূর্যাস্তের সময়ে চলমান এফএ কাপের সব ম্যাচেই বিশেষ বিরতির নিয়ম চালু করেছে এফএ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা না গেলেও, এফএ কাপের ম্যাচগুলোতে থাকবে বিশেষ ‘রামাদান ব্রেক।’ মুসলমান খেলোয়াড়দের ইফতারের সময় করে দিতেই এই বিশেষ বিরতির কথা জানানো হয়েছে। চলতি রমজানে এফএ কাপের সূচিতে পঞ্চম রাউন্ডের দুটি করে ম্যাচে থাকছে এই নিয়ম।
একইরকম বিশেষ ‘রামাদান ব্রেক’ আসছে বেলজিয়ান প্রো লিগেও। বেলজিয়ান লিগে সূর্যাস্তের সময়ে ম্যাচগুলোতে বিরতি থাকছে। লিগের ১৪তম স্থানের দল সেইন্ট ট্রুইডেন্স এবং কে. ভি. কোর্টরির্টজের মধ্যেকার ম্যাচে ছিল বিশেষ ‘রামাদান ব্রেক’ এর ব্যবস্থা। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় ছিল সেই বিরতি। এছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারেও অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ফুটবল লিগ ‘এ’-লিগে আছে ইফতার ব্রেকের ব্যবস্থা। বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলে এই বিশেষ উদ্যোগ।