Status

পুলিশের গুলিতে শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে চাকরি দিলেন কৃবি ভিসি

জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ নুর আলমের ছেলে সন্তান তার বাবাকে দেখতে পায়নি। জন্মের ২ মাস আগে তার পিতা শহীদ হন। স্বামীর মৃত্যুর পর নুর আলমের অসহায় স্ত্রী খাদিজা বেগম সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর ভিটেমাটি থাকার আশ্রয়টুকুও হারান।

খাদিজা তার সদ্য ভুমিষ্ট শিশুকে নিয়ে দুচোখে চারিদিকে অন্ধকার দেখতে পায়। এরকম অবস্থায় তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম। খাদিজা অষ্টম শ্রেণী পাশ হওয়ায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর মুন্সিপাড়া এলাকায় অসহায় কৃষক বাবার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে থাকে খাদিজা বেগম। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, উপজেলা প্রশাসন, ও ব্যক্তি পর্যায়ে তার জন্য কিছুটা সাহায্য করে।

কিন্তু খাদিজার দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তির জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করা সম্ভব হয়নি। খাদিজার অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহঃ রাশেদুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার তিনি অসহায় খাদিজা বেগমকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তার ছেলে সন্তানকে কোলে তুলে নেন, এ সময় তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রাশেদুল ইসলাম তাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করেছেন। খাদিজা অষ্টম শ্রেণী পাশ হওয়ায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিত্বে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করা হয়।

এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব সাংবাদিক আশরাফুল হক রুবেল, অব. শিক্ষক দেওয়ান এনামুল হক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, ডা. বাঁধন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহঃ রাশেদুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র -জনতার আন্দোলনে গত ২০ জুলাই ‘২৪ পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে অস্থায়ী ভিত্তিত্বে মেয়েদের হোস্টেলে চাকরি দেয়া হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Back to top button