পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ ইটভাটা মালিককে জরিমানা করলেন হাইকোর্ট

অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকার দায়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিকের প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে ওই জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ।
বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।
আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান থাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করে। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতের এই আদেশ কার্যকর করতে গেলে ইটভাটা মালিকরা অন্য একটি রিট দায়ের করলে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করে রুল দেন।
পরে ইটভাটা মালিকদের রিট এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয়। এক পর্যায়ে আদালত রুল খারিজ করে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা আপিল দায়ের করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৪ জুন রায় দেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
এর কয়েক মাস পর ইটভাটা মালিকরা অন্য একটি রিট দায়ের করলে আদালত আবার স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। পরে স্থিতাবস্থার আদেশ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে এইচআরপিবির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে আদালতকে অভিহিত করেন যে, কয়েকজন ইটভাটা মালিক একই বিষয়ে বারবার রিট দায়ের করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছে।
এছাড়া কয়েকজন ইটভাটা মালিক ইতোপূর্বে আদালতের আদেশ জালিয়াতি করেছেন এবং আদালত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) হাইকোর্ট অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিকের প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
এফএইচ/এএমএ/জেআইএম