পাকিস্তানের মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত পাঁচ

ফের রক্তে ভিজল পাকিস্তানের মাটি। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের সময় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনজক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় স্বীকার না করলেও পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ তালিবানি জঙ্গিরাই হামলার পিছনে রয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের আইজি জুলফিকার হামিদ জানিয়েছেন, ‘আক্কোরা খাট্টাক জেলায় যে মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসাটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মৌলানা আবদুল হক হাক্কানিয়া। বাবার মৃত্যুর পরে মাদ্রাসাটির প্রধান হন মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি।’
মূলত তালিবানদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল তার। গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন হাক্কানিয়া। সেখানে তালিবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এদিন নমাজ আদায়ের পরেই ভয়াবহে বিস্ফোরনে কেঁপে ওঠে মাদ্রাসাটি। তীব্র বিস্ফোরণে অনেকেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। রক্তে ভেসে যায় গোটা এলাকা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যসচিব সাহাব আলি শাহ জানিয়েছেন ‘বিস্ফোরণে মাদ্রাসাটির প্রধান মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি প্রাণ হারিয়েছেন। মূলত তাকে মারার জন্যই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের