
আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল বিজিবির উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)। নিজস্ব পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার এই যাত্রা শুরু হয়। একই সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে স্টেশন সদর দপ্তর ও গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ঢাকা এবং ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, গাজীপুরের।
আজ শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) এর শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের পর নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়ন, গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিজিবি ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি সুসজ্জিত ও চৌকস দল কর্তৃক মনোজ প্যারেড প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর সদ্য উদ্বোধনকৃত বিজিবি স্থাপনাসমূহের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বিগত কয়েক বছরে মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে স্পর্শকাতরতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে একটি ব্যাটালিয়ন স্থাপন সময়ের দাবি ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হলো।
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ যেকোনো আত্মসীমান্ত অপরাধ দমন এবং সীমান্তবর্তী জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে উখিয়া ব্যাটালিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে রামু সেনানিবাস ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কক্সবাজার ঘাঁটির এয়ার ভাইস মার্শাল এ এফ এম শামীমুল ইসলাম, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার, বিজিবি সদর দপ্তর ও কক্সবাজার রিজিয়নের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।