Facebook Bio Status

নেত্রকোনায় রকেটের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে সুপারভাইজার উধাও


নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া।

সোমবার (৩ মার্চ) ব্যবসায়ীক কাজের কথা বলে দুর্গাপুর থেকে জারিয়া-ঝানজাইল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুপারভাইজার শিহাব। এরপর থেকেই ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরসহ কোম্পানির মূল সিমকার্ড (মাদার সিম) বন্ধ রয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ডিস্ট্রিবিউটর ও দুর্গাপুর পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম।

অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিহাব ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী হওয়ায় রকেট ব্যবসার সবদিক নিজেই পরিচালনা করতেন। ব্যবসার মূল (মাদার সিম) সিমকার্ডসহ মোবাইল সেট তার কাছেই ছিল। উক্ত সিমকার্ডে দুই ধাপে দেওয়া মোট ১৭ লাখ টাকা লোড করা অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ দুপুরে ব্যবসার মূল সিমকার্ডসহ মোবাইল সেট নিয়ে ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান শিহাব উদ্দিন।

ওইদিন সন্ধ্যায় শিহাবের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলে জানান পূর্বধলা এলাকায় আছেন, কিছুক্ষণ পরই রওনা দেবন। পরবর্তীতে তারাবি নামাজ শেষে রাতে শিহাব উদ্দিনের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে মুঠোফোনে জানান শিহাব উদ্দিন এখনো বাড়ি ফেরেনি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান থেকে শিহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত নম্বরসহ কোম্পানির মাদার সিমকার্ডে ফোন দিলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম জানান, সিহাবের কাছে থাকা সব ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে রকেট অফিসের হটলাইন নম্বরে ফোন করে জানতে পারি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাদার সিমকার্ডে ১৫,৫০০ টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা নাই। ওই দিনসহ বিভিন্ন সময়ে মাদার সিম থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা উঠিয়েছে। কোম্পানি সূত্রে জেনেছি, দীর্ঘদিন ধরেই জালিয়াতির মাধ্যমে টাকাগুলো অন্যত্র সরিয়েছে যা আমার নজরে আসেনি। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব তার কাছেই থাকতো।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া বলেন, এ ঘটনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এইচ এম কামাল/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button