
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যানের বৈধতা জানতে গত ২৩ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও তিনজন আইনজীবীর পক্ষ থেকে নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়। নোটিশদাতারা হলেন- মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওসমান গনি।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী খাদ্য বিষয়ে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং বিস্তৃত বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। অথচ বর্তমান চেয়ারম্যান একজন অতিরিক্ত সচিব। নিরাপদ খাদ্য আইনের ৯ ধারার কোনো যোগ্যতাই তার নেই।
কোন যোগ্যতাবলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান তার পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে বিবাদীদের নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ রুল জারি করেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদটি একটি টেকনিক্যাল পদ। অথচ এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন সরকারি আমলাকে। যার খাদ্য সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আদালত রুল জারি করেছেন। আশা করছি, সংশ্লিষ্টরা রুলের জবাব দেবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস