নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ গুলিবর্ষণ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই-গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীরসহ তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আদমজী এলাকায় সংঘর্ষে চলে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা গেছে, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং রুহুল আমিন নামক এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে দুপুরে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরেই সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এরই জের ধরে পরবর্তীতে বিকেলে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময়ে তোফাজ্জল হোসেন নামক স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয় এবং এক গণমাধ্যমকর্মীর মোটরসাইকেলসহ মোট ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতার মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪-৫জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে ৩-৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় সামলানো সম্ভব হয়েছে। তবে ওই পরিস্থিতিতে কাউকে আটক করা সম্ভব ছিল না।