নান্নুর কাছে মুশফিক কিংবদন্তি ও সব সময়ের সেরাদের একজন

২০১৬ সালের জুনে প্রধান নির্বাচক হওয়ার আগে অন্তত ৫-৬ বছর নির্বাচক কমিটির সদস্য ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। কাকতালীয়ভাবে ২০১০-১২ সাল থেকে সাবেক এ ক্রিকেটারের প্রধান নির্বাচক হওয়া পর্যন্ত সময়টাই গতকাল বুধবার ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারেরও সেরা সময় ছিল।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটেই মুশফিকের ভালো ভালো ইনিংস, ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সগুলোর বড় অংশ মাঠে বা ড্রেসিং রুমে বসেই দেখেছেন নান্নু। এছাড়া নির্বাচক হিসেবে এক যুগের বেশি সময় অনুশীলনেও পাখির চোখে পরখ করেছেন মুশফিককে। সেই দেখার অভিজ্ঞতাই তাকে ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা দিয়েছে।
নান্নু মনে করেন, মুশফিক বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক জীবন্ত কিংবদন্তি, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরমার। সাবেক এ ক্রিকেটারের মূল্যায়ন, মুশফিক হলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন।
নান্নু বলেন, ‘ওডিআই ফরম্যাটে নিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর আমার মনে হয় সবাই তাকে মনে রাখবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এক বাক্যে সবার স্বীকার করবে। আমাদেরকে উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে মুশফিকের অবদান চিরস্মরণীয়। অবশ্যই তার পারফরম্যান্সটা মনে থাকবে সবার।’
নান্নুর ধারণা, দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মুশফিকের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। পাশাপাশি বিশাল অর্জন, দুর্দান্ত কৃতিত্বের জন্য মুশফিককে স্যালুট জানাতেও দ্বিধা করেননি তিনি।
নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘মুশফিকের প্র্যাকটিসের ধরন, অনুশীলনের বাইরে নিজের আগ্রহে বাড়তি সময় দেওয়া এবং সেটা কীভাবে করতে হয়, তা খুব ভালো জানতো মুশফিক। সেগুলো যদি তরুণরা অনুসরণ করেন, তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবে। সবার সাথে যদি সে তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে, তাহলে সবাই লাভবান হবে।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এ প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমি যখন নির্বাচক ছিলাম, আমার অধীনে তার সেরা সময় গেছে। আমি কাছ থেকে তাকে দেখেছি। তার সেরা ইনিংসগুলো আমার দেখা। সে যে অবদান রেখেছে, সেটাকে স্যালুট করি। খেলোয়াড়রাই নিজের সিদ্ধান্ত পারে। মুশফিক সেটা নিয়েছে।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম