Facebook Bio Status

নাটোরে যুবকের চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা


নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক (৩৬) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বুধবার (৫ মার্চ) দিনগত রাতে জড়িত তিনজনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক।

আসামিরা হলেন উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার (২২) ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তারমিনা (৩৮)।

নাজমুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে ভোগায়। তাদের কলাগাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে। রোববার সকালে সেই কলাগাছের পাতা কেটে পরিষ্কার করছিলাম। এসময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগালি করতে থাকে। আমি নিষেধ করলে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে এলে তাকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এখন চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেছেন চিকিৎসক।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডলি রানী বলেন, আহতের চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button