নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে লেবুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ


নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস লেবু। পাঁচ টাকার লেবু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়।

রোববার (২ মার্চ) বিকেলে শহরের গোস্তহাটির মোড় পৌর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ২০টির বেশি দোকান থাকলেও লেবুর দেখা মিলেছে মাত্র ছয়টিতে। যেখানে মানভেদে প্রতিপিস লেবু ১০ টাকা থেকে সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এক সপ্তাহ আগে এসব লেবু প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা দরে। রমজানে বেশি দামে লেবু বিক্রি করার বিষয়টি কৌশলে মূল্য তালিকা বোর্ডে উল্লেখ করেননি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মদ আলী স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম বলেন, পাইকারি বাজার অথবা বাগান থেকে লেবু কেনার সময় ছোট-বড় সব ধরনের লেবু গড়ে ১০ টাকা পিস দরে কিনতে হয়। এসব বাছাই করে ছোট লেবু গুলো কম দামে এবং তুলনামূলক বড় আকৃতির লেবু কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করা হয়। তাই মূল্যতালিকা বোর্ডে দাম উল্লেখ করা হয়নি। ছোট লেবু গুলো ১০ টাকা পিস এবং বড় আকৃতির লেবুগুলো সাড়ে ১২ টাকা পিস দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সাজেদুর রহমান নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এক সপ্তাহ আগে যেই লেবু পাঁচ টাকায় পিস দরে কিনেছি, সেই লেবু এখন ১০ টাকার কমে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। পাইকারি হাটে-বাজারে লেবুর সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। আবার বাগানেও লেবুর কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হয়নি। তাই অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে লেবু বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেটের ছিঁটেফোটাও নেই।

শহর সংলগ্ন সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর এলাকা থেকে গোস্তহাটির মোড়ে বাজার করতে আসা যুবক মাহবুব আলম বলেন, দুই টাকার লেবু সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা পিস হলেও সাধ্যের মধ্যে থাকতো। ১০ টাকা থেকে সাড়ে ১২ টাকা পিস হিসেবে লেবু কিনে খাওয়া মধ্যবিত্তের জন্য কষ্টকর।

শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে বাজার করতে আসা শাহিনুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে যেই লেবু পাঁচ টাকা পিস দামে কিনেছি, সেটা ১১ টাকা পিস দরে কিনতে হলো। প্রতি বছর রমজান মাস শুরু হলেই লেবুর দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরতে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার তদারকি করা প্রয়োজন। নয়তো ঈদের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এরা আরও বাড়িয়ে দেবে।

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, এবার রমজানে কৃষিপণ্যের মধ্যে লেবু ও ভোজ্য তেল ছাড়া সবগুলোই এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকা থেকে সাড়ে ১২ টাকা পিস দরে লেবু বিক্রির বিষয়টি আমাদের স্বাভাবিক মনে হয়নি। ইতোমধ্যে বাজার পরিস্থিতি জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি।

আরমান হোসেন রুমন/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version