দৈনিক ইনকিলাব সাংবাদিক ফারুকের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেফতার হয়নি সন্ত্রাসীরা

দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী জেলা সংবাদদাতা সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেফতার হয়নি সন্ত্রাসীরা। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাংবাদিক ওমর ফারুক এখনো ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল সকাল ১১টার সময় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য মানববন্ধন করেন কর্মরত সাংবাদিকরা। এসময় বক্তারা সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা।
এদিকে সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুককে প্রধান আসামি ও ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও মাদকসহ মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি সোহাগ পেশায় লরির হেলপার। ৫ অগাস্টের পর পেশা পরিবর্তন করে নিজে থেকেই বিএনপি নেতা বনে যায়। গত কিছুদিন পূর্বে কালিদহ ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি হয় সে। এরপর থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে যায়।
মামলার ২ নম্বর আসামি মামুন পেশায় সিএনজি চালক। ৫ অগাস্টের পর পেশা পরিবর্তন করে সে স্বঘোষিত যুবনেতা পরিচয়ে জামাই ফারুকের বাহিনীতে নাম লেখায়। এরপর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে মাদক ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মামুন একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা। দলের নাম ব্যবহার করে সে লালপোল এলাকায় মাদকের ডিপো গড়ে তুলেছে। তাদের এমন একটি অপকর্ম ছিল ইরা নামে একটি কোম্পানির বালু লুট। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন করেছিল সাংবাদিক ওমর ফারুক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।