দৈনিক ইনকিলাব ফেনী সংবাদদাতা ফারুকের উপর হামলার ২৪ ঘন্টায়ও গ্রেপ্তার হয়নি সন্ত্রাসীরা

দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলার ২৪ ঘন্টায়ও গ্রেপ্তার হয়নি সন্ত্রাসীরা। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাংবাদিক ওমর ফারুক এখনো ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার সময় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য মানববন্ধন করেন কর্মরত সাংবাদিকরা।
এসময় বক্তারা সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফেনীর সর্বত্র কিছু সন্ত্রাসী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুককে প্রধান আসামী ও ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নং-৫৫ দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও মাদকসহ মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। মামলার ২ নং আসামী সোহাগ পেশায় লরির হেলপার।
৫ অগাস্টের পর পেশা পরিবর্তন করে নিজে থেকেই বিএনপি নেতা বনে যায়। গত কিছুদিন পূর্বে কালিদহ ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি হয় সে। এরপর থেকে কয়েকটি মোটর সাইকেল ও কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে যায়। মামলার ২ নং আসামী মামুন পেশায় সিএনজি চালক। ৫ অগাস্টের পর পেশা পরিবর্তন করে সে স্বঘোষিত যুবনেতা পরিচয়ে জামাই ফারুকের বাহিনীতে নাম লেখায়। এরপর থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে মাদক ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মামুন একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা। দলের নাম ব্যবহার করে সে লালপোল এলাকায় মাদকের ডিপো গড়ে তুলেছে।
তাদের এমন একটি অপকর্ম ছিল ইরা নামে একটি কোম্পানির বালু লুট। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন করেছিল সাংবাদিক ওমর ফারুক। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তার উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আসামীরা বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।