
চট্টগ্রামে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকল্পে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করে সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু বাদী। মামলায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চার প্রকৌশলীসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিষয়টি স্বীকার করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপপরিচালক আতিকুল আলম বলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকেল্পর একটিতে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম মাটি ভরাট করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ এবং আরেকটি সরকারি আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট প্রদানে অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে অনিয়ম দুটি মামলা করা হয়েছে। এতে চারজন প্রকৌশলী, এক ঠিকাদার ও অপর এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কিসমত জাফরাবাদ আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পে নির্ধারিত পরিমাণ মাটি ভরাটের চেয়ে কম ভরাট করে দুর্নীতির মাধ্য ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৯৪ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তিন প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারকে আসামি করে মামলা করেছে দুদক।
আসামিরা হলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের ওই সময়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার মোর্শেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান ও ঠিকাদার মেসার্স হক কনস্ট্রাকশন প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মেসার্স ইউটি মং (জেভি) মালিক মাঈনুল কবির।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ফ্ল্যাট জালিয়াতি করে সাড়ে ২১ লাখন ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল আলম এবং ফ্ল্যাট গ্রহীতা হাজী ছগীর আহমদ রানাকে আসামি করা হয়।
এমডিআইএইচ/জেএইচ