তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, এর কোনো বিকল্প নেই :এ এম এম বাহাউদ্দীন

আগামীর বাংলাদেশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ হবেÑ আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এবং বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান সবাই শান্তিতে বসবাস করবে, এর বিকল্প কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘একজন তারেক রহমান তৈরি করতে কয়েক যুগ লেগেছে। ভুল-ত্রুটি আমাদের সবারই আছে। তিনি একসময় ছোট ছিলেন কিন্তু এখন তার বয়স ৬০-এর মতো। বয়সের সাথে সাথে তিনি এখন অনেক বেশি পরিপক্ব।’
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ‘দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষের কাছে এখনো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাদের সন্তান তারেক রহমান বাবা ও মায়ের রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে যেভাবে বিএনপিকে পরিচালনা করছেন, দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, তাতে তিনিও মানুষের মনে জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। আর তার সাথে থাকবেন বিএনপির পরীক্ষিত নেতা ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মতো দেশপ্রেমিক নেতারা।’ গতকাল বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগরে জুলাই বিপ্লবে শহীদ মো. ইমন মিয়ার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মো. ইমন মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগরের টনকী ইউনিয়নের চৈনপুর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানী নতুর বাজার বোনের বাসায় থাকতেন। খাবারের হোটেলে চাকরি করতেন। ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ভাটার থানা সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। সেখান থেকে সঙ্গীরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে ৩ আগস্ট ইমন মিয়া ইন্তেকাল করেন।
জুলাই বিপ্লবের এই শহীদ পরিবারকে সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং নতুন বসতঘর নির্মাণ করে দেন।
গতকাল জমিয়াত সভাপতি ও ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সোনাকান্দা দররবার শরীফে বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে শহীদ ইমন মিয়ার পরিবারের জন্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ নির্মিত বসতঘর শহীদ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘শহীদের রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহ সেটার একটা তাৎক্ষণিক না হয় পরবর্তীতে এটার একটা সুসংবাদ দেবেন। আবু সাঈদের শহীদ হিসেবে যেমন মর্যাদা ইমন মিয়ার মর্যাদাও সমান।’
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ‘এখানে (মুরাদনগর) হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন অত্যন্ত মূল্যবান কথা বলেছেন, এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে কায়কোবাদ সাহেব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘কায়কোবাদ সাহেব মিথ্যা মামলার কারণে দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি মুরাদনগরের মানুষকে ভুলে যাননি। তার চরম দুঃসময়েও তিনি তার এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন, সাথে ছিলেন, মানুষের জন্য কাজ করেছেন, খেদমত করেছেন। কাজ ও খেদমত বন্ধ রাখেননি। তাদের যেকোনো দুঃখে-সুখে সহযোগিতা করেছেন। মুরাদনগরের মানুষও তাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। আগামী দিনেও নিশ্চয় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মুরাদনগরের মানুষ কায়কোবাদের পাশে থাকবে।’
সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল সামাদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বাদশাহ প্রমুখ।