
রক্ষণশীল সমাজে বিবাহ ও বিচ্ছেদ যেন একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ। একবার হলে গেল তো সব শেষ! দুটো শব্দের সংজ্ঞা যেন একই। তবে রক্ষণশীল সমাজে জন্মেও স্বাধীনতার প্রকৃত উদাহরণ তুলে ধরেছে এক ডিভোর্সী মহিলা। তাও আবার পাকিস্তানের মত রক্ষণশীল দেশে। ৩ সন্তানের মা আজিমা প্রমাণ করল বিবাহবিচ্ছেদ মানে জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সামাজিক মাধ্যমে গানের তালে তালে নেচে আনন্দের স্বাদ উপভোগ করলেন আজিমা। যা নিয়ে হইচই শুরু বিশ্ব মহলে।
আজিমার আনন্দ ভাগ করে নেয়া দেখে খুশি নেট নাগরিকরা। সমালোচকদের কটুক্তি উড়িয়ে দিয়ে নিজের আবেগ ভাগ করে নিয়েছেন আজিমা। আজিমার কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। ভেসে আসতে থাকে একের পর এক কমেন্ট। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘একজন তালাকপ্রাপ্ত পাকিস্তানি মায়ের জন্য এর চেয়ে ভালো গান আর কী হতে পারে?’ তা দেখে আজিমাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকে।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে আজিমা লিখেছেন, পাকিস্তানি সমাজে বিবাহবিচ্ছেদকে মৃত্যুদণ্ডের মত চোখে দেখা হয়। যেন মেয়েটি কোন অপরাধ করে ফেলেছে। সমাজে তাদের কটু চোখে দেখা হয়। কোন শুভ অনুষ্ঠান, বাইরে বেরোনো এমনকী ঘরের মধ্যেও বহু বিধিনিষেধ মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। আমাকে তকমা দেয়া হয়েছিল আমি খারাপ। আমার জীবন শেষ, আমি অনুশোচনা করব। আমার জীবনে নাকি আর কোনদিন সুখ আসবে না। আসলে সত্যিটা হল আমি সত্যিই খুব খুশি। আমি এখনও হাসছি, আমি এখনও নাচি।’
একজন লিখেছেন, ‘বাহ তুমি খুব ভাল নাচ করো। এভাবেই এগিয়ে চলো..’। অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ মানেই শেষ নয়’। নেট নাগরিকদের একাংশের মতে ‘দমবন্ধ জীবনযাপনের চেয়ে বিবাহবিচ্ছেদ ভাল।’