
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পদত্যাগ করতে পারেন এমন তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টস। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের জন্য এমন এক নেতা প্রয়োজন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে সক্ষম হবেন। এই বক্তব্য এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডার পর।
ওয়াল্টস বলেন, “ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন এবং যুদ্ধ থামাতে সক্ষম হবেন।” ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে এ মন্তব্য করা হয়েছে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়, সেটি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বিষয়ে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি বাতিলের দিকে ঠেলে দেয়। এরপর থেকেই ইউক্রেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প-জেলেনস্কির প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সংকটের সূচনা হতে পারে। সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে তৈরি হওয়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্কের ওপর এ ঘটনায় গভীর প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও জানান, এই বিরোধের পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “যতদিন না ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনায় বসবে, ততদিন যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।” তিনি জানান, যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনায় আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি বৈরী মনোভাব ধরে রেখেছেন, যা শান্তি আলোচনা নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং তিনি জানবেন, আমরা তাঁকে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করছি।”
ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন গভীর সংকটে রয়েছে, এবং এই দ্বন্দ্বের প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি যদি শিগগিরই শান্ত না হয়, তবে যুদ্ধ বন্ধে বড় বাধা আসতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল এখন এই অস্থিরতা মোকাবেলায় কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে, তা দেখার বিষয়।