
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কঠোর শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত তাঁর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ট্রাম্প জানান, মেক্সিকো ও কানাডার সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ কিছুটা কমলেও, তিনি এই দুই দেশের ওপর শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকবেন না।
ট্রাম্প বলেন, “ফেন্টানাইলের কারণে আমরা লাখ লাখ মানুষ হারিয়েছি। এর বেশিরভাগই চীন থেকে আসে এবং মেক্সিকো ও কানাডার মাধ্যমে প্রবেশ করে। আমি আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২ এপ্রিল থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। আপনারা এমন কিছু দেখতে যাচ্ছেন, যা আশ্চর্যজনক হবে।” তাঁর এই বক্তব্যে শুল্ক নীতির কঠোর বাস্তবায়নের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে তিনি প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা জানান। বৈঠকে হোয়াইট হাউসের মিডিয়া নীতির কড়াকড়ি নিয়েও আলোচনা হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), রয়টার্সসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যদি কোনো সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করে সংবাদ বা বই প্রকাশ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এছাড়া, ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোতে কর্মী সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সরকারি ব্যয় হ্রাস করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি ব্যয় সংকোচন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতি এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, সিএনএন