টেকনাফে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাকমা পল্লির চাষিরা


কক্সবাজারের টেকনাফে এ বছর প্রথম পাহাড়ি জমিতে সরিষা চাষ করে মৌমাছির সাহায্যে মধু উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে চাকমা সম্প্রদায়ের কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং হরিখোলায় চাকমা পল্লির পাহাড়ি এলাকায় ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেন চাকমা সম্প্রদায়ের কৃষকেরা। নারী-পুরুষ মিলে দিন-রাত সরিষা ক্ষেতে কাজ করছেন। দিনের বেলা নারীরা সময় দিচ্ছেন। ক্ষেতের চারপাশে মৌ-বাক্স বসানো আছে। ফুল থেকে মধু আহরণ করে মৌমাছি। পরে কৃষকেরা তা সংগ্রহ করছেন। ২ মাসের একটি বাক্স থেকে ১০-১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়।

হোয়াইক্যং হরিখোলার কৃষক তাইনচাও চাকমা বলেন, ‘এ বছর ধান, শাক-সবজির পর সরিষা চাষ শুরু করি। লক্ষ্য হলো একদম খাঁটি ও ভালো মানের মধু উৎপাদন করা।’

তিনি বলেন, ‘আমি ৩৩ শতক জমিতে সরিষা চাষের মাধ্যমে মধু চাষ করেছি। এই প্রথম পাহাড়ি এলাকায় মৌমাছির সাহায্যে সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদন শুরু করি। ১ কেজি মধু ২ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়।’

হোয়াইক্যংয়ের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সরুওয়ার কাদের জয় বলেন, ‘এ বছর রবি মৌসুমে চাকমা পল্লিতে ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। একটি মৌ-বাক্স থেকে ২ মাসের মধ্যে প্রায় ১০-১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। প্রতি বাক্সে প্রায় ৭টি চাক বা প্লেট থাকে। মৌমাছিগুলো ফুলের পাপড়িতে বসে রস সংগ্রহ করে বাক্সে জমা রাখে।’

তিনি বলেন, ‘সরিষার সাথে মধু চাষ টেকনাফ উপজেলায় এই প্রথম। তা-ও হরিখোলা চাকমা পল্লি এলাকায়। প্রায় ২০-২৫ গ্রুপের একটি দল। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও মধু চাষের সাথে সম্পৃক্ত। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। এটি বাড়ানোর জন্য চাকমা যুবকেরাও এগিয়ে আসছেন।’

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version