Facebook Bio Status

টাঙ্গাইলে টমেটোর দাম কম হওয়ায় হতাশ চাষিরা


টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চরাঞ্চলে টমেটোর ব্যাপক চাষ হয়েছে। বিষমুক্ত টমেটো চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বর্তমানে দাম কম থাকায় কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এ অঞ্চলের টমেটো স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কৃষকেরা বলেন, ‘টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও দাম কম পাওয়ায় আমরা হতাশ। উপজেলায় এবার বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। বিক্রির শুরুতে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতো। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছি।’

সরেজমিনে জানা যায়, চাষিরা এখন গাছ থেকে টমেটো তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দাম কম থাকায় তারা হতাশ। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর ১৫২ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। গত বছর ১৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল।

টাঙ্গাইলে টমেটোর দাম কম হওয়ায় হতাশ চাষিরা

কৃষক বাদশা মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘১১৫ শতাংশ জমিতে টমেটো করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে গিয়ে ৩০০ টাকা মণ বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রতি মণ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হতো। উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে টমেটোর দাম কম। সার-বীজের দাম বেশি হওয়ায় খরচও বেশি। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার টমেটোও বিক্রি হয়নি।’

কৃষক রুবেল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘টমেটোগুলো ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রির জন্য রাখা হচ্ছে। কিন্ত ক্রেতা কম থাকায় ঠিকমতো বিক্রি করতে পারছি না। সার ও বীজের বাড়তি দামের কারণে চাষে ক্ষতি হবে। সরকারের সহযোগিতা ও দাম বৃদ্ধির জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কৃষক মো. রবিউল বলেন, ‘এবার সারসহ কামলার দাম বেশি। যার কারণে চলতি মৌসুমে টমেটো আবাদে খরচ বেশি হয়েছে। গ্রামের বেশিরভাগ কৃষকের একই অবস্থা।’

গৃহিণী আমেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বছর বাড়ির পাশের প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছি না। দাম কম হলে অনেক লোকসান হবে। তবে আশা করছি সামনে দাম বাড়বে।’

টাঙ্গাইলে টমেটোর দাম কম হওয়ায় হতাশ চাষিরা

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেত মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে কৃষকেরা ৩০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করছেন। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হতেন। আরও ২ মাস টমেটো থাকবে। দাম আরও বেশি হলে তারা লাভবান হতেন।’

নাগরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম রাশেদুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপজেলায় টমেটো চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। নাগরপুরে টমেটোর আবাদ দিন দিন বাড়ছে। টমেটো চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করছি।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Leave a Reply

Back to top button