জ্যোতির ৮০, সুমনার ৫ উইকেট

টপ-অর্ডারের দাপটে এতদিন ব্যাট হাতে বেশি কিছু করার সুযোগই পাচ্ছিলেন না নিগার সুলতানা জ্যোতি। এবার ওপরের সারির ব্যাটারদের নিষ্প্রভ দিনে ঠিকই জ্বলে উঠলেন তিনি। অভিজ্ঞ ব্যাটার দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পরে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার দুর্দান্ত বোলিংয়ে অপ্রতিরোধ্য পথচলা ধরে রাখে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেন’স ক্রিকেট লিগে গতকাল অন্য ম্যাচে আসরে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গুলশান ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাবকে ৬৪ রানে হারায় শেলটেক। ১৯৫ রানের পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষকে ১৩০ রানের বেশি করতে দেয়নি নিগারের দল। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল শেলটেক। লিগে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল তারা। আগের ম্যাচগুলোতে শেলটেকের বেশিরভাগ রান করেন শারমিন সুলতানা, ইশমা তানজিম ও সুমাইয়া আক্তার। এদিন তিনজনের কেউই ত্রিশ ছুঁতে পারেননি। ইশমা ২৯ ও শারমিন করেন ২৭ রান। চার নম্বরে নেমে দায়িত্ব নেন জ্যোতি। দুই ওভার বাকি থাকতে আউট হন তিনি। ১০৭ বলে ৯ চারে ৮০ রান করেন শেলটেক অধিনায়ক। শেষ দিকে ফাহিমা খাতুনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২১ রান। গুলশানের পক্ষে হাবিবা ইসলাম পিংকি, রাবেয়া খান ও রিতু মনি নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় একপর্যায়ে ২ উইকেটে ৯০ রান করে ফেলে গুলশান। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ বলে ৫৬ রান করেন জুয়াইরিয়া ফেরদৌস। জুয়াইরিয়াকে ফিরিয়ে গুলশান ইনিংসে ধসের শুরু করেন সুমনা। ৪০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে গুলশান। চোট পাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি সুরাইয়া আজমিম। ৮ ওভারে ৩১ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সুমনা। এক ম্যাচ আগে ২৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ছয় ম্যাচে গুলশানের এটি দ্বিতীয় পরাজয়।
বিকেএসপির ১ নম্বর মাঠে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবকে ৬৫ রানে হারায় আনসার ও ভিডিপি। ২০০ রানের লক্ষ্যে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় পুলিশ। পুরো ম্যাচে ফিফটি করতে পারেননি দুই দলের কেউই। নাসিমা খাতুন ৪৩, আয়েশা আক্তার ৩৯, অরবিন তানি ৩৭ রানের ইনিংস খেললে দুইশর কাছাকাছি যায় আনসার ও ভিডিপি। পরে পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শিবানি রানি। দলের আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি। আনসার ও ভিডিপি অধিনায়ক তিথি রানি সরকার ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট। ছয় ম্যাচে আনসার ও ভিডিপির এটি প্রথম জয়। পাঁচ ম্যাচের সবকটি হারল পুলিশ।