জাবিতে পবিত্র রমজানে খাবারের মূল্য মনিটরিং ও ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি ছাত্রদলের

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলসমূহের ডাইনিং, ক্যান্টিন এবং হলের বাইরে থাকা খাবার দোকানগুলোর খাবারের মান বৃদ্ধি, যথাযথ মূল্য নিশ্চিতে প্রশাসনিক মনিটরিং সেল গঠন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।

 

রবিবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল আহসান বরাবর এক স্মারকলিপিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। এতে তারা দুইটি দাবি জানায়। তাদের দাবিগুলো হলো- হলসমূহ, বটতলা ও ডেইরি গেইটের (প্রধান ফটক) খাবারের মান বৃদ্ধি ও যথাযথ মূল্য নিশ্চিতে প্রশাসনিক মনিটরিং সেল গঠন করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হল ক্যান্টিনসমূহের ভর্তুকি বৃদ্ধি।

 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আজ থেকে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান শুরু হচ্ছে।এই মাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা চলমান থাকবে। ফলে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করছেন। পবিত্র মাহে রমজানের এই মাসে রোজাদার শিক্ষার্থীগণ সেহরি ও ইফতারে সঠিক ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ না করলে তাঁদের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়া পবিত্র রমজানের স্পর্শকাতর ও অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে বহু শিক্ষার্থী নানাবিধ শারীরিক সমস্যা ও অসুস্থতার শিকার হবেন। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল পবিত্র রমজানে আবাসিক হলসমূহের ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি ও যথাযথ মূল্য নিশ্চিতে হলভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যান্টিনসমূহের ভর্তুকি বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

 

এতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ অপশাসনের অবসানে সাহসী ভূমিকা পালন করা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তার মতো মৌলিক অধিকার-আদায় করার ক্ষেত্রে বর্তমানে চরম অবহেলার শিকার হচ্ছেন। এই অবহেলা সবচেয়ে প্রকট হয়ে ফুটে উঠে, যখন প্রতিবছর রমজান মাস চলাকালে রোজাদার শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা সর্বোচ্চ থাকে। তাই শাখা ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যাটি সমাধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীক বলেন, “পবিত্র রমজানে ক্লাস পরীক্ষা থাকার দরুণ শিক্ষার্থীরা হল গুলোতেই অবস্থান করে থাকেন। রমজানে হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ থাকে খাবারের বিষয়ে। প্রায়ই শোনা যায়, মানহীন খাবারে অধিক মূল্য নেওয়া হচ্ছে৷ তাই আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি হলে ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে প্রশাসন যাতে নিয়মিত তদারকি করে সেই দাবিতেই এই স্মারকলিপি প্রদান। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করি৷

Source link

Exit mobile version