জাবিতে পবিত্র কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা ২৮ রমজান

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের উদ্যোগে আগামী ২৮ রমজান আয়োজিত হবে ‘৫ম কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০২৫’।
রবিবার (২ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ক্লাবটির সভাপতি হাফেজ মুহিব্বুল্লাহ মুহিব।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৫ম কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০২৫’ প্রতিযোগিতাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করতে হবে। এবারের প্রতিযোগিতার সিলেবাস হিসেবে সুরা ইউসুফ ও সুরা কাহফকে সুরা দুটিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি উল্লেখ করে এতে বলা হয়, প্রতিযোগিতাটি দুইটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনের মূল পর্ব প্রথম ধাপ আগামী ২৯ মার্চ (২৮ রমজান) সকাল ১০ টায় অনলাইনে গুগল ফর্মে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৫০ টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। এ ধাপে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পরে ২য় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২০ টি বহুনির্বাচনি ও ১৫ টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে৷ বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য একজন প্রতিযোগী ১ নম্বর ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য ২ নম্বর পাবেন। পরে পুরস্কার বিতরণির মাধ্যমে আয়োজনের আয়োজন সম্পন্ন হবে। আয়োজনে প্রথম ৫০ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য শুভেচ্ছা উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ বিজয়ীদের মধ্যে প্রথমস্থান অধিকারী পাবেন ৮ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীরা পাবেন যথাক্রমে ছয় হাজার ও চার হাজার টাকা। এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম পুরস্কার দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বই এবং ষষ্ঠ- দশম পুরস্কার এক হাজার টাকা সমমূল্যের বই প্রদান করা হবে৷ ১১তম থেকে ২০তম স্থান অধিকারীদের পাঁচশত এবং ২১তম থেকে ৫০ তম পুরস্কার তিনশত টাকা সমমূল্যের বই প্রদান করা হবে।
জাবি কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের সভাপতি হাফেজ মুহিব্বুল্লাহ মুহিব বলেন, রমজান আত্মশুদ্ধি, সহানুভূতি ও নৈতিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুরআনের নির্দেশনা অনুসরণ আমাদের জীবনে আলোকিত পথের দিশা দেয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা কুরআনের মহিমান্বিত বাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, যা অন্তরের পরিশুদ্ধি ও মেধার বিকাশে সহায়ক হবে। কুরআনের সঠিক উপলব্ধি সমাজে ন্যায়, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।