
জাগো নারী
আঁধার ঘরে বন্দি হয়ে থাকবি তোরা আর কতকাল
ওই উঠেছে পূর্ব দিকে টগবগিয়ে সূর্য লাল,
আর কতকাল চলবি তোরা কষ্ট নিয়ে বক্ষ ভরে
বুকের ভেতর আগুন জ্বালা থাকিস না রে চুপটি করে।
কী হবে আর এমনি বেঁচে বাড়িয়ে দেহের আয়ুষ্কাল
বুকের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়ে বোন রে এবার স্বপ্নজাল,
ফাঁদ পেতেছে প্রভাবশালী পিষ্ঠে দিতে যাতাকলে
মুখোশটাকে দে রে খুলে ভিজিস না রে চোখের জলে।
একটি ভোরের আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিস না ঘুম
আঁধারটাকে মাড়িয়ে দিলে দেখবে সুদিন দিচ্ছে চুম।
বস্তাপচা মিষ্টি কথায় সুজন সেজে আসবে কাছে
জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে থাকবে না কেউ তোর পাশে।
থাকতে সময় বুঝে নে রে তোর জীবনের হিসাব-নিকাশ
উঁচু মাথায় বাঁচতে হলে করতে হবে জীবন বিকাশ।
জাগো নারী ভাসাও তরি জীবন যুদ্ধের নাব্যতায়
জীবন বলির খড়গ হতে বাঁচতে হবে সভ্যতায়।
****
আজ আমার বসন্ত
বুকের গহীন তলে, খুবই অভ্যন্তরে
কচি কিশলয়ের মতো উঁকি দিই
এক মাহেন্দ্রক্ষণ
ফাল্গুন-চৈত্রের সমস্ত মাসজুড়ে
সে এক অন্যরকম শিহরণ
অন্যরকম ভালোবাসা
পঞ্চাশের বুকে আছড়ে পড়ে সুনামির মতো
পাথর শরীরে নৃত্য করে মেঘের উর্বশী
তার প্লাবনে পদ্ম ফোটে মনের কোণে।
বেজে ওঠে সানাইয়ের সুর
বহে যায় দখিনা বাতাস
প্রেমার্ত চোখের পাঁপড়িগুলো
কাঁপতে থাকে তার আলিঙ্গনে।
এক অদ্ভুত আনন্দাশ্রু ভিজে দেয় শরীর
শ্রাবণের বৃষ্টি ভেজা চাঁদের মতো।
গোলাপ প্রস্ফুটিত হয় প্রেমিক হয়ে
তার স্পর্শে ডানা মেলে ভ্রমরের গুঞ্জন
অপেক্ষার ক্রন্দনসুরে ডেকে যায় কোকিল
মন ডেকে বলে আজ আমার বসন্ত।
এসইউ/জিকেএস