Status

গৌরীপুরে বিপুল পরিমান নকল জুস ধ্বংস,লক্ষ টাকা জরিমানাসহ মালিকের কারাদণ্ড

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত নিম্নমানের আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার জুস, আইসবার, এডিবল জেলসহ বিপুল পরিমাণ নকল ও ভেজাল খাদ্যপণ্য জব্দ করে ধ্বংস করেছে ইউএনও’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

 

দীর্ঘদিন যাবৎ নকল জুস তৈরি করে বাজার জাত করছিলো উপজেলার কলতাপাড়ার রুপনাকান্দা
গ্রামের এই জুস কোম্পানি। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ময়মনসিংহে এনএসআই-এর গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৪মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কলতাপাড়া রুপনাকান্দা গ্রামে অবস্থিত নকল জুস কারখানায় অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকারের পরিচালিত অভিযানিক টিম। অভিযানে কারখানার মালিক দুলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

জানা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন কারখানাটিতে বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ডের মোড়ক ও বোতল নকল করে নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার জুস, আইসবার, এডিবল জেলসহ বিভিন্ন নকল ও ভেজাল খাদ্যপন্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন কারখানার মালিক দুলাল উদ্দিন।।নকল ও ভেজাল খাদ্যপন্য তৈরি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুলাল উদ্দিনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করাসহ জুস বানানোর মেশিন ও জুস তৈরির নিম্নমানের উপকরণ মালামাল জব্দ করার পাশাপাশি কারখানা সিলগালা করা হয় এবং জুস ও বোতল পুড়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার। এ সময় সাথে ছিলেন সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার এন.এস.আই, পুলিশ এবং বিএসটিআই প্রমুখ।

 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার।বলেন, বিএসটিআই আইন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নকল জুস তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুর হাসান আরো জানান, নকল জুস কারখানার মালিককে অর্থদণ্ড সহ জেলে প্রেরণ এবং নকল জুস কারখানা বন্ধ ঘোষণা সহ নকল জুস ধ্বংস করা হয়। সকল অপরাধ ও নকল পণ্যের উপর উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

Source link

Leave a Reply

Back to top button