গুম ব্যক্তিরা ভারতের কারাগারে!

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দার্শনিক ফরহাদ মজহারকে ভারতে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মাওলানা সাঈদীর স্বাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। এ খবর সবার জানা। কিন্তু এরপরও শত শত মানুষকে গুম করে হাসিনা রেজিমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে পাচার করা হয়েছে! পাচার করা বাংলাদেশিরা এখনো ভারতের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি ভারতের কারাগারে আছে কিনা অনুসন্ধানে নেমেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি বন্দিদের তালিকা চাইলে দিল্লি ১০৬৭ জনের দিয়েছে। সেই তালিকায় দেশ থেকে গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কিনা মিলিয়ে দেখছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এ ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে কমিশনের প্রতিবেদনে। গতকাল ঢাকার গুলশানের গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ভারত ১০৬৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে। সেটি গুম সংক্রান্ত কমিশন মিলিয়ে দেখছে, সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই তালিকা ভারত আরো দেবে। কমিশনের কাছে জোরপূর্বক গুমের শিকার এমন ৩৩০ জনের তালিকা আছে, যারা এখনো ফিরে আসেননি। ওই ব্যক্তিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গত বাংলাদেশের ধামরাই থেকে গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে গত ২২ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন অনুসন্ধান করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তালিকা দেয়া হয়। এ তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কোনো গুমের শিকার ব্যক্তির নাম এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

শেখ হাসিনা রেজিমে বিগত ১৫ বছর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে কার্যত ভারতের ‘করদ রাজ্যে’ পরিণত করা হয়েছিল। ভারতবর্ষে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রদেশে রাজ্য সরকারগুলো যেভাবে কাজ করে; বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তেমনি করা হয়েছিল। হাসিনা কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর মতোই সরকার পরিচালনা করেছেন। প্রশাসনের নিয়োগ-বদলি-মন্ত্রী-সংসদে মনোনয়ন সবকিছু দিল্লির নির্দেশে করা হতো। বন্ধুত্ব আর স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের নামে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা দু’দেশের মধ্যে যে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছেন তার সবগুলো দিল্লির স্বার্থে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি, নেতাকে গুম করে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হতো। সেখানে বিভিন্ন কারাগারে তাদের রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় গুম হয়ে আয়নাঘর থেকে মুক্তিপাওয়া ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, তাদের হিন্দি ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো। সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন জানান, ঢাকার ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর ছাড়াও র‌্যাব, বিজিবির আয়নাঘরের সন্ধান তারা পেয়েছেন। শুধু ঢাকায় নয় সারাদেশে অংখ্য আয়নাঘরের (গুম করে রাখা) সন্ধান পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে গুমের সঙ্গে জড়িত কতিপয় ব্যক্তির জন্য পুরো বাহিনী আতঙ্কগ্রস্ত (প্যানিক স্ট্রিকেন) হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যেসব সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত, তা তাদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়। তিনি বলেন, গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুম করার অভিযোগ আছে, তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অনুসন্ধান করছে।

কমিশনপ্রধান বলেন, অপরাধীরা অনেক সময় আইনের হাত থেকে বাঁচতে তার ধর্ম, কমিউনিটি, সামাজিক গ্রুপ, ইত্যাদির আড়ালে লুকাতে চেষ্টা করে। এই প্রবণতাকে বলা হয় আইডেনটিটি বেজড ডিফেন্স (কমিউনিটি শিল্ডিং)। কিন্তু বিচার কখনো ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে হয় না, তা হয় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। কারণ, ফৌজদারি অপরাধ একটি ব্যক্তিগত দায়, এতে কমিউনিটিকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ নেই।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কালিমা মোচন হবে এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সবাই আইনের অধীন। এটাই আইনের শাসনের মর্মবাণী। তাই গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায় পুরো বাহিনীর ওপর বর্তায় না। এই কমিশন ‘কমিশনস অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’-এর অনুবলে গঠিত হয়ে সম্পূর্ণ পক্ষপাতমুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ জন্য এই কমিশনের কাজে কোনো বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যদের নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কমিশন জানায়, বগুড়া পুলিশ লাইসেন্সেও গোপন বন্দিশালার সন্ধান পাওয়া গেছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে। কমিশনপ্রধান বলেন, ঢাকা, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ডিজিএফআই, সিটিটিসি ও র‌্যাবের নিয়ন্ত্রণাধীন বেশকিছু গোপন বন্দিশালার সন্ধান পাওয়া মাত্রই তা পরিদর্শন করে অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশনা প্রদান করে কমিশন। যেমন কমিশন গঠনের কয়েক সপ্তাহের মাঝেই ডিজিএফআইয়ের জেআইসি (আয়নাঘর) এবং র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের টিএফআই পরিদর্শন করে আলামত ধ্বংসের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এই দুটিসহ মোট তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করা হয়েছে।

কমিশন জানায়, এখন পর্যন্ত কমিশনে ১ হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্য থেকে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে আসা ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৪৫ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। আবার গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান আছে। কমিশনপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কোনো গুমের শিকার ব্যক্তির নাম এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গত দুই-আড়াই বছরে আটক ১ হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে কমিশনে প্রেরণ করা হবে বলে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ততালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কি না তার অনুসন্ধান চলমান। তিনি বলেন, কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ১০ এ(১) ও (২) অনুযায়ী কমিশনে দাখিল করা গুমসংক্রান্ত অভিযোগগুলোর মধ্য থেকে মোট ৭৪টি অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ছাড়া কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভিকটিম পরিবারসহ অংশীজনদের গুমসংক্রান্ত অপরাধ ও এর দায়সংক্রান্ত বিষয়ে অবহিত করেছেন।

কমিশন জানায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যেকোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি যেকোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল, তা নির্ধারণ করার জন্য কমিশন গঠিত হয়েছে।

এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান লিটন বলেন, বগুড়া পুলিশ লাইনে গোপন বন্দিশালা পাওয়া গেছে। যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্দিদের এনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হতো। পুলিশ লাইনের ভেতরে কারাগারের মতো গোপন বন্দিশালা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। যেটি একেবারেই ‘এবসার্ট’ একটা ব্যাপার। সেটি আমরা বগুড়ায় পেয়েছি। আমাদের ধারণা অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের বন্দিশালা আরো পাবো। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নূর খান বলেন, এগুলো গত ১৫ বছরের মধ্যেই বানানো হয়েছে। সম্ভবত গত ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দিদের এনে রাখা হতো। জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হতো এবং এখান থেকেও অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন যে তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশ মেনেই কাজ করতেন। কিন্তু গুমের তদন্ত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ম্যান্ডেট আছে এই সরকারের। সুতরাং এখন যারা জেনারেলদের পালাতে সাহায্য করছেন তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করছে না। এটি আপনাদের ব্যক্তিগত দায়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়েও কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যা এখনো কার্যকর হয়নি। এ ব্যাপারে কমিশন প্রধানের ভাষ্য, গ্রেফতার করা না গেলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২৭ আগস্ট গুম-সংক্রান্ত এ তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশন ১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে অন্তর্র্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন।

Source link

Exit mobile version