
রাজশাহী মহানগরীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ৮ জনসহ মোট ৪০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী মহানগরীতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিস্ফোরণ ঘটানো, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও আরএমপির অভিযানে ৩২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, যার মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ জন, মাদক মামলায় ৪ জন এবং অন্যান্য অপরাধে ২৩ জন।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ গ্রেপ্তারকৃত মো: আকতারুল আলম (৫৯), মো: বকুল (২৮), আল-আমিন হোসেন ওরফে বাপ্পি (৩৫), মো: ইমরান হোসেন ইমু (৩০), মো: আবু সাঈদ (৩৫), মো: সেলিম হোসেন ওরফে আলমাছ (৪৫), মো: সুজন (৩৩) ও মো: মুনজুর (২৮)।
আকতারুল আলম রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর নিউ কলোনি এলাকার মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। সে শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বকুল মতিহার থানার মির্জাপুর এলাকার মো: জুলমতের ছেলে। সে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য।
আওয়ামী লীগ কর্মী আল-আমিন বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকার মৃত বাবলুর ছেলে, ইমরান হোসেন একই থানার পঞ্চবটি খরবোনার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে, আবু সাঈদ কেদুর মোড় এলাকার মো: এনামুলের ছেলে, সেলিম হোসেন শেখের চক পাঁচানি মাঠ এলাকার মৃত আক্কাসের ছেলে, সুজন একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং মুনজুর পঞ্চবটি শ্মশানঘাট এলাকার মো: রানু শেখের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।