Status

গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের বিচারসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে ১১ দাবি ঢাবি সাদা দলের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার, খাবারের মান বৃদ্ধি, আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১১টি দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল মঙ্গলবার ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম এবং প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার, স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, উচ্চশিক্ষার প্রসার, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং সর্বোপরি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান উল্লেখ করে বলা হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুথান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও ২৪’র কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী হাসিনা বিরোধী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থীবৃন্দ অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন। যুগে যুগে বাংলাদেশের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায়, গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রসার, সঠিক নেতৃত্বের বিকাশ এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির সাথে সাথে তুলনামূলকভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের পাঠ-পঠন যেমন আধুনিক হয়নি, তেমনি এর অবকাঠামোরও সময়োপযোগী উন্নয়ন সাধিত হয়নি। এ অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবসন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য সাদা দলের পক্ষ থেকে নি¤েœাক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বতন্ত্র বেড নিশ্চিত করা, হলগুলোর খাবারের মান বৃদ্ধি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, শ্রেণি কক্ষের মানোন্নয়ন ও পাঠদানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বৃদ্ধি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ অন্যান্য গ্রন্থাগারের অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক বই ও জার্নাল সংখ্যা বৃদ্ধি, অনলাইন রিসোর্সগুলোর এক্সেস আরো সহজলভ্য করা।

শিক্ষার্থীদের খ-কালীন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা, প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা, ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ করা, স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং ও মেন্টরশিপ কর্মসূচি উন্নতিকরণ, ভর্তিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্নে শিক্ষার্থীদের হয়রানী ও দুর্ভোগ লাঘবে প্রাচীন মান্ধাতার যুগের প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসসহ সকল দপ্তরের কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ করা। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংস্কার: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করা।

Source link

Leave a Reply

Back to top button