কোম্পানীগঞ্জ চোরাকারবারিদের রমরমা ব্যবসা

সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন হাজার বস্তা চিনি ও অন্যান্য কসমেটিক আইটেম আসছে চোরাই পথে । উপজেলার কালাইরাগ, বরমসিদ্দির পুর, উৎমাছড়া, কামালবস্তি সহ সব সীমান্ত দিয়ে অবাধে নামছে ইন্ডিয়ান চিনি ও বিভিন্ন কসমেটিক আইটেম। চিনির ব্যবসা চলছে রমরমা। চিনির বস্তা থেকে চাঁদাবাজি ও চলছে রমরমা।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিনি ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বস্তা চিনি থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে এই চাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়৷ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন এর নাম উঠে আসে। জানা যায়, বরমসিদ্দির পুর গ্রামের তথাকথিত সাবেক ছাত্রদল কর্মী মোঃ হেলাল উদ্দিন এই টাকা উত্তোলন করে। বর্ডার থেকে চিনির বস্তা নামার সাথেই সাথেই ১০০ করে টাকা দিতে হয় বস্তা প্রতি৷

 

 

যদিও হেলাল উদ্দিন কে কেউ কোনোদিন ছাত্রদলের কোনো সভা সমাবেশে দেখে নি। কেউ কেউ আবার দাবি করেন হেলাল মূলত ছাত্রলীগের কর্মী৷ এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন জানান, মোঃ হেলাল উদ্দিন ছাত্রদলের কোনো কর্মী বা সদস্য না।

 

 

তিনি আরো বলেন হেলাল মূলত ছাত্রলীগের কর্মী। ৫ তারিখের পর থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে৷ আমাদের কোনো সদস্য কোনো ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত না। যদি এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় আমরা সাথে সাথে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিব। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চোরাই পথে আসে এই চিনি।

 

বিশেষ করে স্থানীয় দয়ার বাজার, ভোলাগঞ্জ বাজার ও টুকের বাজার চোরাই চিনি বিক্রির মুল পয়েন্ট৷ এখান থেকে আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় চোরাই চিনি। প্রতিনিয়ত প্রশাসন অভিযান দিয়ে ও বন্ধ করতে পারছে না চোরাই চিনির ব্যবসা। অভিযোগ আছে পুলিশের টহল দিয়ে পাচার হচ্ছে চিনি।

 

 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব ওজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে চোরাকারবারি বন্ধ করার জন্য। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ যদি চোরাই চিনি/ চাঁদা নিয়ে থাকে তাহলে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।

Source link

Exit mobile version