কোচ আশরাফুলের শুভ সূচনা

কোচ হিসেবে অভিষেকেই জয়ের স্বাদ পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ক্রিকেটার হিসেবেও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। এবার শুরু হলো কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলের নতুন অধ্যায়। এর আগে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করলেও এবারই প্রথম ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন আশরাফুল। খেলোয়াড়ি জীবনেও অনেক সাফল্য আছে এই ক্রিকেটারের। লিগে শতরান আছে এক ডজনের মতো। এক বছরেই করেছিলেন ৫টি শতক। পারফরমার আশরাফুলের অর্জনের ভা-ার ছিল পরিপূর্ণ। এবার কোচ হিসেবে দারুণ সূচনা করলেন আশরাফুল। অভিষেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৪ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে তার নতুন দল ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি ক্লাবের এ জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহান। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরেই যার ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ও সামর্থ্য প্রমাণিত। সেই সোহান গতকাল হোম অব ক্রিকেটে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৯ রান উপহার দিয়েছেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও ইমতিয়াজ হোসেন। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। মাহফিজুল ৮৪ আর ইমতিয়াজ আউট হয়েছেন ৫০ রান করে। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মিজানুর রহমান। পরে আর কেউই বলার মত স্কোর করতে পারেনি। ৫০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ২৬২ রানে থামে ব্রাদার্সের ইনিংস। জবাব দিতে নেমে প্রথম পাঁচ ব্যাটারের ডাবল ফিগারে ভর করে ৪ উইকেট হাতে রেখে ৮ বল আগে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ধানমন্ডি।
ওপেনিংয়ে নেমে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই তরুণ ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও হাবিবুর রহমান সোহান। দুজনে মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ৫৬ রান। আশিকুর ২৩ আর হাবিবুর ৩২ রান করে আউট হন। পরে বাকি কাজ সেরেছেন ফজলে মাহমুদ, ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ফজলে মাহমুদ ৫৫ এবং ইয়াসির আলী ৪১ রান করে আউট হলেও নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থেকেছেন ৫৮ রানে। শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নেয় ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
এদিকে, শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিং ও তানজিদ তামিমের ফিফটিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। গতকাল প্রিমিযার লিগের ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ ওভার ৫ বলে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। রূপগঞ্জের পেসার শরিফুল ১৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। মাত্র ৬ রানে ৪ উইকেট হারানো গাজী গ্রপের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আব্দুল গাফফার সাকলাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ৭ নম্বরে নামা তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া ওয়াসি সিদ্দিক ১৮ আর বাকিদের কেউ দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ফলে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় এনামুল হক বিজয়ের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কোনো উইকেট হারাতে হয়নি রূপগঞ্জকে। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাইফ ২৭ আর তানজিদ ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
আরেক ম্যাচে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯৫ রান করে শাইনপুকুর। জবাবে এক বল বাকি থাকতেই ২২১ রানে অলআউট হয় পারটেক্স।