কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রেমিকের সহায়তায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ গ্রেফতার ৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধু (২১)কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
গৃহবধূর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাথে মইনুল হক (২৩) নামে এক যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরে মধ্যে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চর বড়লই গ্রামের একটি ইউক্যালিপ্টাস বাগানে মইনুলের সাথে দেখা করতে যান ওই গৃহবধূ। কিন্তু মইনুল তার আরেক সহযোগী ইয়াকুব আলী (২৫) সাথে যোসাজস করে আরও ৫ যুবককে সাথে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূ মইনুলের সাথে দেখা করতে গেলে ৭ যুবক মিলে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বুধবার ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের মইনুল হক ও চর বড়লই গ্রামের ইয়াকুব আলীসহ ৫ যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের অপর তিন আসামী হলেন, চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের হাসানুর রহমান (২০), চর বড়লই গ্রামের সোহেল রানা (২১) ও চর বড়লই হাজীটারী গ্রামের লাল মিয়া (৪০)। মামলার অভিযুক্ত অপর দুই আসামী হলেন চর বড়লই গ্রামের আতিয়ার রহমান (৩৫) ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা আল আমিন (২০)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর এলাকার ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, গৃহবধূর স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলোহ চলছে। পারিবারিকভাবে তাদের বিচ্ছেদের আলোচনা আছে। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও খারাপ অভিযোগ নেই।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম সাতজনের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। বাকি দুই আসামীকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতাকৃত পাঁচ আসামী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি শিকার করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ গ্রেফতার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।