Facebook Bio Status

কাশিয়ানীতে পাঁচ মাসে চুরি ২৩ ট্রান্সফরমার


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে একের পর এক চুরি হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। বিশেষ করে সেচ কাজে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে বেশি।

গত পাঁচ মাসে প্রায় ১৬ লাখ টাকা মূল্যের ২৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও বিদ্যুতহীন থাকার শঙ্কায় রয়েছেন।

পল্লী বিদ্যুতের কাশিয়ানী জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এরমধ্যে রয়েছে ১৫ কিলো ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (কেভিএ) ১০টি, ১০ কেভিএ ৯টি ও ৫ কেভিএ চারটি ট্রান্সফরমার। যার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা।

সবশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার পোনা গ্রামের সাহেব বাড়ি এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ থানায় এজাহার দিলেও ধরা পড়েনি চোর।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মানুযায়ী, প্রথম দফায় ট্রান্সফরমার চুরি হলে নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে গ্রাহককে অর্ধেক মূল্য সমিতিকে ভর্তুকি দিতে হয়। আর দ্বিতীয় দফা চুরি হলে ট্রান্সফরমারের মূল্যের সম্পূর্ণ টাকা সমিতিকে দিয়ে নতুন ট্রান্সফরমার কিনতে হয়। যা দরিদ্র গ্রাহকদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য।

উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের ডাঙ্গা মাজড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নাজমুল হুদা বলেন, গতবছর ১০ কেভিএ ট্রান্সফরমার চুরি হয়। সমিতিকে ৩৬ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে ট্রান্সফরমার লাগাই। পুনরায় সেই ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে ট্রান্সফরমার কিনে লাগাই। এভাবে বারবার চুরি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাশিয়ানী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. গোলাম ফারুক ট্রান্সফরমার চুরির বিষয় নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রতিটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোনো চোরকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খান বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। চোরদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।

নুরুল আলম ফয়সাল/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button