কারাগারে ৭, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ৭

রাজধানীর কলাবাগানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাতজন শিশু হওয়ায় আদালত তাদের গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া অপর ছয় আসামি হলেন- সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) এবং ফারহান (২৫)।
এছাড়া ইমন, পারভেজ হাওলাদার, হৃদয় হোসেন আকাশ, নাইম হাওলাদার, আরাফাত আহম্মেদ, রুবেল মিয়া ও শেখ রাব্বেকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান তাদের কারাগারে ও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিডেট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অফিস সন্দেহে হামলা চালান অভিযুক্তরা। এ সময় ৩ লাখ টাকা ও চারটি কম্পিউটার লুট করা হয় এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। আটকদের কাছ থেকে নগদ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পিয়ন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গতকাল ৭ মার্চ পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের তৃতীয় তলায় কাবিকোর কনস্ট্রাকশনে এজাহারনামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জন আসামি পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করেন। পরিচয় জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এসময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং অফিসে থাকা ৪টি ডেস্কটপ যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। এ সময় বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে উদ্ধার করেন।
এমআইএন/ইএ/জেআইএম