
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় শ^শুর বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী ও তার ছোট বোনকে খুন করে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী সামিউল ইসলাম (৩০)। একই সাথে দুই বোনকে খুন করায় পুরো এলাকায় চাঞ্চলের্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত যুথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামিউল ইসলামের সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেঁচে নেই। তাদের মা মামলার কারণে জেল হাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। বড় ভাই সউদী আরবে থাকেন। যুথী এক মাস আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এর মাঝে সামিউল স্ত্রী যুথীকে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু যুথী যেতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিণ্য হয়। পরে গত সপ্তাহে সামিউল তার শ^শুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত রাতে খাবার শেষে যুথি ও তার ছোট বোন স্মৃতি ঘরের একটি কক্ষে এবং সামিউল ও তার শ্যালক জাহিদ হোসেন অন্য কক্ষে ঘুমিয়েছিল।
গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে যুথি ও স্মৃতির লাশ দেখতে পায়। পরে গতকাল সকালে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের, পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশসহ কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই জাহিদ হোসেন বলেন, দুলাভাই আমার সাথে ঘুমিয়েছিল। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি তিনি নেই। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। আমার দুই বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার বোনদের খুনের বিচার চাই।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, তাদেরকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। কি কারণে খুন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করছেন তাৎক্ষনিক হয়তো কোনো দ্বন্দ্বের কারণে তাদেরকে খুন করা হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।