ওয়ানডে রাঙিয়ে মুশফিকের যত রেকর্ড

রেকর্ড, অর্জন আর কীর্তিতে সমৃদ্ধ এক ওয়ানডে ক্যারিয়ার মুশফিকুর রহিমের। উল্লেখযোগ্য দলীয় ট্রফি খুব বেশি নেই, তবে ব্যক্তিগত কীর্তির আলোয় ঝলমলে তার দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছরের অধ্যায়। এদেশের ক্রিকেটের অনেক ‘প্রথম’ জন্ম হয়েছে তার হাত ধরে, কিছু জায়গায় তিনি উঠে গেছেন নতুন উচ্চতায়, কিছু রেকর্ডে তিনি পেরিয়ে গেছেন পূর্বসূরীদের। গৌরবময় সেই দীর্ঘ পথচলা মুশফিক থামানোর ঘোষণা দিয়েছেন বুধবার রাতে। বাংলাদেশের জার্সিতে তাকে আর দেখা যাবে না এই সংস্করণে। বিদায়ের ক্ষণে তার নানা রেকর্ড আর কীর্তিতে চোখ বুলিয়ে আরও একবার অনুভব করা যেতে পারে, বাংলাদেশ দলের কতটুকু জুড়ে ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার-
ামুশফিকুর রহিম ২৭৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, যা বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে সর্বোচ্চ। আড়াইশ ম্যাচ খেলতে পারেননি আর কেউ। ২৪৭ ম্যাচ খেলে দুইয়ে সাকিব আল হাসান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৬.৪২ গড় এবং ৭৯.৭০ স্ট্রাইক রেটে ৭৭৯৫ রান সংগ্রহ করেছেন। তামিম ইকবালের (৮৩৫৭) পরেই তার অবস্থান।
াফরম্যাটটিতে ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে, তিনি টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। রয়েছে ৪৯টি হাফ-সেঞ্চুরি।
াতার করা চারটি সেঞ্চুরি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৮ এশিয়া কাপে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা ১৪৪ রান, যা এই ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। তিনি পরাজিত ম্যাচেও চারটি সেঞ্চুরি করেছেন এবং একটি সেঞ্চুরি এসেছিল এমন ম্যাচে, যা পরবর্তীতে কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়।
াবাংলাদেশের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার কীর্তি মুশফিকের। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের টানা ৯২ ওয়াডেতে তিনি ছিলেন তার আগে রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত ৮৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই ওপেনার।
ামুশফিকুর ১০০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, যা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার উপরে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১০৭) ও তামিম ইকবাল (১০৩)।
াউইকেটকিপার হিসেবে মুশফিকুর ২৯৭টি ডিসমিসাল করেছেন, যা বাংলাদেশের কোনো কিপারের সর্বোচ্চ এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে সামগ্রিকভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ। এর মধ্যে রয়েছে ২৪১টি ক্যাচ ও ৫৬টি স্টাম্পিং।
া২৭৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৬০টিই মুশফিক খেলেছেন উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখানে তার ওপরে আছেন ওয়ানডে ইতিহাসে কেবল চারজন কিপার। এই দ্বৈত ভূমিকায় ৩৬০ ম্যাচ খেলে সবার ওপরে কুমার সাঙ্গাকারা, ৩৫০ ম্যাচ মাহেন্দ্র সিং ধোনির, মার্ক বাউচারের ২৯৪টি ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ২৮২টি। কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করেছেন মুশফিক ৭ হাজার ২৫৪। এখানে তার ওপরে আছে তিনটি নাম- গিলক্রিস্ট, ধোনি ও সাঙ্গকারা।
ামুশফিকুর রহিমই একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হয়েছেন। তবে, ২০১৮ এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবুধাবিতে বাংলাদেশের ৩৭ রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে তিনি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
াবাংলাদেশকে ৩৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক, যা ঠিক তামিম ইকবালের সমান। তাদের চেয়ে বেশি ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেছেন মাশরাফি, তামিম ও সাকিব।