এবার প্রায় আড়াই লাখ ইউক্রেনীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প


চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসী ও টেম্পরারি লিগ্যাল স্টেটাসের আওতায় অবস্থানরতদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে কয়েক ধাপে কয়েক হাজার নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। এবার সেই ধারাবাহিকতায় লক্ষাধিক ইউক্রেনীয়কে ফেরত পাঠাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ও তিনটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের টেম্পরারি লিগ্যাল স্টেটাস বাতিল করা হলে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। যা আগামী এপ্রিলে শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে প্রকাশ্য বাগ্‌বিতণ্ডার আগেই ইউক্রেনীয়দের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়। বাইডেনের আমলে প্রায় ১৮ লাখ মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এখন সেগুলো বাতিলের চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলার পর লাখ লাখ ইউক্রেনীয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন। যার মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার জন যান যুক্তরাষ্ট্রে। এবার এই ইউক্রেনীয়দের নিজ দেশে ফেরত যেতে হচ্ছে। তারা টেম্পরারি লিগ্যাল স্টেটাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনীয়দের উষ্ণভাবে বরণ করে নেন। এখন ঠিক তার উল্টোটা ঘটতে যাচ্ছে।

২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয় ছাড়াও ৫ লাখ ৩০ হাজার কিউবিয়ান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান ও ভ্যানেজুয়েলান্সের অস্থায়ী আশ্রয় বাতিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ফেরত পাঠানোর এই তালিকায় রয়েছেন ৭০ হাজার আফগানও। যারা যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যকার যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিলেন। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলে, গোষ্ঠীটির ভয়ে এসব আফগান নাগরিক ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান। তাদেরকেও এবার নিজ দেশে ফিরতে হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version